مذكر ও مؤنث এর দিক থেকে اسم প্রকার ও ব্যবহার ।
আরবী ভাষার মূল স্তম্ভ হলো اسم، فعل, حرف ،এগুলো ব্যতিরেকে আরবী ভাষার অস্তিত্বই অসম্ভব। প্রত্যেকটি আবার কয়েক প্রকারে বিভক্ত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আজ শুধু ইসিমের জিনস হওয়ার দিক থেকে প্রকারভেদ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সহজ করে বললে مذكر ও مؤنث এর দিক থেকে اسم প্রকার ও ব্যবহার । ও ব্যবহার। এই পর্বটি থেকে আমরা সহজে জিনস বা লিঙ্গের প্রকারগুলো আদ্যপাদ্য আয়ত্ত করতে পারব ইনশাআল্লাহ। সামনে ধারাবাহিক আরো পর্ব আসবে ইনশাআল্লাহ।
جنس বা লিঙ্গের দিক থেকে اسم দু প্রকার المذكر و المؤنث
المذكر ওই اسم যা শ্রেণি হিসেবে পুংলিঙ্গ হয়। যেমন- رجل পুরুষ, ولد ছেলে , ابن পুত্রসন্তান, عريس বর, বা اسم যার মাঝে কোন تأنيث এর কোন আলামত হয় না।যেমন- بيت (ঘর), شارع (সড়ক), كرسي (চেয়ার), كتاب (বই)
আরবীতে أسماء التأنيث কয় প্রকার ও কি কি।
১) ওই اسم যা جنس হিসেবে স্ত্রীলিঙ্গ যদিও তার মাঝে স্ত্রীলিঙ্গের কোন আলামত নেই।
যেমন- عروس، حامل،حائض،زينب،مريم، ইত্যাদি।
২) ওই اسم যার শেষে التاء المدورة (গোল তা) হয় যেমন- مشكاة، فاطمة ،طالبة ،معلمة،غرفة،ساعة ইত্যাদি।
৩) ওই اسم যার শেষে الألف المقصورة হয়।
যেমন- نعمى ،حسنى،صغرى ،سلمى ইত্যাদি।
৪) ওই اسم যার শেষে الألف الممدودة হয়। যেমন-حسناء، زهراء،صحراء ইত্যাদি।
বা الاسم المذكر যদি أفعل এর ওজনে হয়, তাহলে তার مؤنث হবে فعلاء এর ওজনে। যেমন – (أخضر- خضراء ‘সবুজ) أسود)- سوداء’ কালো) (أبيض– بيضاء ” সাদা) ইত্যাদি।
৫) উপরোক্ত প্রকার গুলোর ছাড়াও এমন কিছু اسم রয়েছে যেগুলোকে শুধু এ কারণে الاسم المؤنث গণনা করা হয় যে, আরবে ভাষীগনের পক্ষ থেকে সেগুলোকে مؤنث রুপেই শোনা গেছে এগুলোকে المؤنث السماعي বলা হয়।
এ প্রকারের মাঝে নিম্নের ইসমগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে
১) বিভিন্ন রাষ্ট্র নগরী ও গোত্রের নাম যেমন- قريش، مكة،باكستان،مصر،ইত্যাদি।
২)শরীরের সেসব অঙ্গ যেগুলো জোড়ায় জোড়ায় রয়েছে যেমন- قدم (পা) عين (চোখ) رجل (পা) أذن (কান)
৩)প্রকৃতির কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন, ريح، سماء ،أرض ইত্যাদি।
আরোও পড়ুন আরবিতে অনুষ্ঠান পরিচালনার নিয়ম
আমরা নিম্নে المؤنث السماعي এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত কিছু শব্দ উপস্থাপন করছি–
الحرب (যুদ্ধ) , الخمر ( মদ), الفلك (নৌকা)
سكّين(চাকু)السقر( জাহান্নামের একটি নামدار(ঘর) عنكبوت ( মাকড়সা) عين ( ঝরনা) نار ( আগুন)
আরবি ভাষায় কিছু শব্দ পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রীলিঙ্গ দু’রুপেই ব্যবহৃত হয়। যেমন-
طريق (পথ) سبيل(রাস্তা) بلد (নগরী) سوق (বাজার) حال(অবস্থা) روح (আত্মা) اصبع (অঙ্গলি) نفس.
কিছু اسم এর শেষে যদি التاء المدورة (গোল তা) রয়েছে; কিন্তু সেগুলো অর্থের বিচারে পুংলিঙ্গ। যেমন- خليفة ، علامة، أسامة ، داعية ،معاوية
যদি কোনো اسم এর শেষে التاء المدورة (গোল তা) থাকে, তাহলে ওয়াকফের হালতে সেই তা ها (হা) পড়া হয়। যেমন- عائشة (আয়েশাতু) কে পড়া হবে عائشه ، আয়েশা। قائمة কে পড়া হবে قائمه।
এই পর্বটি থেকে আমরা সহজে জানতে পারলাম مذكر ও مؤنث এর দিক থেকে اسم প্রকার ও ব্যবহার। সামনে ধারাবাহিক আরো পর্ব আসবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক,মুহাম্মদ ফুজাইল হুসাইনী
অধ্যয়নরত, উচ্চতর আরবী ভাষা ও সাহিত্য – জামিয়াতুল উস্তাজ শহিদুল্লাহ ফজলুলবারী রহঃ